ভ্রমনের বিস্তারিত তথ্য:
প্রথম দিনঃ দিল্লিতে পোঁছানো এবং আগ্রার উদ্দেশ্যে যাত্রা- (রাতের খাবার)
দিল্লি বিমানবন্দরে পোঁছানোর পরে আপনাকে আমাদের ট্যুর গাইড অভ্যর্থনা জানাবেন এবং তিনি আপনাকে নিয়ে আগ্রার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবেন। (এটি দিল্লি থেকে প্রায় 200 কিলোমিটার দূরে এবং 4 ঘন্টার পথ)। দিল্লি থেকে আগ্রায় পোঁছানোর পরে আমরা সিকান্দ্রা ফোর্ট (সম্রাট আকবর দ্বারা নির্মিত) পরিদর্শনে যাবো এবং তারপরে তাজমহল পরিদর্শনে যাবো। তাজমহল পরিদর্শন শেষে আমরা লাল দুর্গে পরিদর্শনে যাবো যেটি আগ্রা দুর্গ নামেও পরিচিত। লাল দুর্গ পরিদর্শন শেষে আমরা রাত্রি যাপনের জন্য হোটেলে চলে যাবো ।
দ্বিতীয় দিনঃ আগ্রা থেকে জয়পুর- (সকালের নাস্তা + রাতের খাবার)
দ্বিতীয় দিন আমরা সকালের নাস্তা করে ফতেহপুরী সিক্রি (সম্রাট আকবর 1569 সালে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন) হয়ে জয়পুরের উদেশ্যে যাত্রা শুরু করবো। এর ভিতরে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ভবন রয়েছে যার ভিতরে রয়েছে ‘বুলন্দ দরওয়াজা’ জামে মসজিদ এবং সেলিম চিশতির মাজার সমাধি। ফতেহপুরী সিক্রি পরিদর্শন শেষে আমরা জয়পুরের উধেশ্যে যাত্রা শুরু করবো (জয়পুর পৌঁছাতে প্রায় 3 ঘন্টা সময় লাগবে)। জয়পুর পোঁছানোর পরে হোটেলে ফ্রেশ হয়ে আমরা পরিদর্শনে যাবো নিঁখুত কারুকার্য এবং ঐতিহ্যমণ্ডিত জয়পুরের বিখ্যাত আম্বার দুর্গ। দুর্গের ভিতর প্রচুর মন্দির রয়েছে। রয়েছে বড় প্রাচীর এবং ফটক, নিখুঁত করে সাজানো বাগান। দুর্গের ঠিক পাশেই রয়েছে মাওতা হ্রদ। এটি আমের প্রাসাদের পানির প্রধান উৎস। আম্বার দুর্গ পরিদর্শন শেষে আমরা রাত্রি যাপনের জন্য সন্ধ্যায় হোটেলে ফিরে যাবো।
দ্রষ্টব্য- চাইলে নিজ খরচে হাতির পিঠে করে অথবা জিপে করে দুর্গ ঘুরে দেখতে পারেন।
তৃতীয় দিনঃ জয়পুর শহর ভ্রমণ- (সকালের নাস্তা + রাতের খাবার)
ভ্রমনের তৃতীয়দিন আমরা শহরের বাকি স্মৃতিস্তম্ভগুলি পরিদর্শন করবো যার মধ্যে বিখ্যাত যন্তর মন্তর (ভারতের পাঁচটি একই ধরণের স্মৃতিস্তম্ভের মধ্যে একটি এবং বৃহত্তম) সিটি প্যালেস এবং হাওয়া মহল অন্তর্ভুক্ত থাকবে৷ এরপরে আমরা আপনার পছন্দের যেকোন রেস্তোরাঁয় রাজস্থানী খাবার উপভোগ করবো (ডাল ভাটি চুর্মা যা রাজস্থানের একটি বিখ্যাত খাবার)। খাওয়ার পরে আমরা রানী সিসোদিয়া কা বাঘ হয়ে নাহারগড় দুর্গ পরিদর্শনে যাবো এবং জয়পুরের স্থানীয় দোকানগুলিতে কেনাকাটা করবো যা হস্তশিল্প এবং অন্যান্য রাজস্থানী জিনিসের জন্য বিখ্যাত। এরপরে রাত্রি যাপনের জন্য সন্ধ্যায় আমরা হোটেলে ফিরে যাবো।
চতুর্থ দিনঃ আজমির শরীফ পরিদর্শন- (সকালের নাস্তা + রাতের খাবার)
সফরের চতুর্থ দিন আমাদের বেশ ব্যস্ততার সাথে সময় কাটবে কারণ এদিন আমরা আজমির শরীফ পরিদর্শনের জন্য যাবো। জয়পুর থেকে আজমির প্রায় ১৪০ কিমি দূরে যেখানে পৌঁছাতে আমাদের প্রায় ২ থেকে ৩ ঘন্টা সময় লাগবে। আজমীর পোঁছে আমরা প্রথমে আজমির শরীফ দরগা পরিদর্শন করবো এবং এরপরে আড়হাই দিনকা ঝোপড়া (একটি ঐতিহাসিক মসজিদ) পরিদর্শন করে জয়পুরের হোটেলে ফিরে আসবো।
পঞ্চম দিনঃ জয়পুর থেকে দিল্লি যাত্রা- (সকালের নাস্তা + রাতের খাবার)
আমরা সকালের খাবার খেয়ে হোটেল থেকে চেক আউট করবো এবং দিল্লির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবো (যা জয়পুর থেকে 6 ঘন্টার পথ।) যাত্রা পথে আমরা রেস্তোরাঁয় যারা যার মত করে খেয়ে নিতে পারবো চাইলে। দিল্লিতে পোঁছে আমরা হোটেলে চলে যাবো দিনের বাকি সময় নিজের মত করে কাটানোর জন্য।
ষষ্ঠ দিনঃ দিল্লীর দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন এবং দিল্লি থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা- (সকালের নাস্তা)
ভ্রমনের ষষ্ঠ দিনে আমরা দিল্লী শহরের দর্শনীয় স্থানগুলো পরিদর্শন করবো যাতে লাল কেল্লা (লাল কেল্লা প্রায় 200 বছর ধরে ভারতের মুঘল সম্রাটের বাসস্থান ছিল) জামে মসজিদ (একটি মসজিদ) এবং রাজঘাট (মহাত্মা গান্ধীজির স্মৃতিসৌধ) । এরপরে আমরা দিল্লির সবচেয়ে উঁচু টাওয়ার দেখতে যাবো যা কুতুব মিনার নামে পরিচিত। কুতুব মিনার পরিদর্শন শেষে পরবর্তী যাত্রার জন্য দিল্লি বিমানবন্দরে চলে যাবো।
Price Details
Hotel Type: Standard
Per Person: 23,500 Tk
Hotel Type: 3* Delux
Per Person: 26,500 Tk
প্যাকেজ অন্তর্ভুক্তঃ
প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত নয়ঃ
send us your inquiry to ejatra.bd@gmail.com or WhatsApp: +8801408444555
Note: This package price only for November, December. Price based on minimum 2 persons