সিকিম ভ্রমণের স্থান সমূহ:
সিংহীক ভিউ পয়েন্ট, সেভেন সিস্টার ওয়াটার ফল, নাগা ওয়াটার ফল, অমিতাভ বচ্চন ওয়াটার ফল, বাটারফ্লাই ওয়াটার ফল, ইয়ামথাং ভ্যালি, সাঙ্গু লেক এবং জিরো পয়েন্ট ও কাটাও (পারমিশন ও অতিরিক্ত খরচ বহন সাপেক্ষে)
০ তম দিন: রাত ০৭:৩০-০৭:৪৫ মিনিটের মধ্যে গাবতলী, মাজার রোড়/কল্যাণপুর বাস কাউন্টারে আমাদের সবার উপস্থিত হতে হবে। আমাদের বাস রাত আনুমানিক ০৮:৩০ মিনিটে বুড়িমারির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে।
১ম দিন:সারা রাত বাস ভ্রমন করে আমরা আনুমানিক সকাল ০৭:০০ মিনিটে বুড়িমারি পৌঁছে যাবো। বাস থেকে নেমে আমরা ফ্রেশ হয়ে নিবো। সকাল ০৯:০০ মিনিটে ইমিগ্রেশন কাউন্টার খুলবে । দুই দেশের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আমরা আনুমানিক সকাল ১১:৩০ মিনিটে শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবো। শিলিগুড়ি পৌঁছে আমরা দুপুরের খাবার আনুমানিক ০১:০০-০২:০০ খেয়ে নিবো। দুপুরের খাবার খেয়ে আমরা এর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবো। আমরা মিরিক হয়ে দার্জিলিং উদ্দেশ্যে রওনা দিবো। পথিমধ্যে আমরা সীমানা ভিউ পয়েন্ট, গোপালধারা টি এস্টেট এবং মিরিক লেকের অসাধারণ ভিউ উপভোগ করতে করতে দার্জিলিং পৌছে আমরা হোটেলে চেক ইন করব। রাত আনুমানিক ০৮:৩০-০৯:০০ মিনিটে আমরা রাতের খবার খেতে সবাই একত্রিত হবো এবং রাতের খাবার খেয়ে আমরা দার্জিলিংয়ের হোটেলে রাত্রি যাপন করবো।
২য় দিন: খুব ভোরবেলা আমরা ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিবো। আনুমানিক ভোর ০৪:১৫-০৪:৪৫ মিনিটে আমরা টাইগার হিলের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবো। সকাল ০৬:৩০ মিনিট পর্যন্ত আমরা টাইগার হিলে অবস্থান করবো। টাইগার হিল থেকে আমরা ঘুম মনাস্ট্রি (১৫ মিনিট) ও বাতাসিয়া লুপ (৩০ মিনিট) ঘুরে দেখবো। দুইটি স্পট ঘুরে আমরা হোটেলে ফিরে আসবো ও সকালের নাস্তা আনুমানিক ০৯:০০-১০:০০ মধ্যে করে নিবো। সকালের নাস্তা করে আমরা বাকি স্পট গুলো (পীস প্যাগোডা ও জাপানিজ টেম্পল ৩০ মিনিট), রক গার্ডেন (৪৫ মিনিট), তেনজিং রক (১৫ মিনিট), টি গার্ডেন (৩০ মিনিট) ঘুরে দেখবো। দুপুরের খাবার খেতে কিছুটা বিলম্ব হতে পারে। সব গুলো স্পট ঘুরে আমরা হোটেলে ফিরে আসবো। দুপুরের খাবার খেয়ে আমরা কিছুটা সময় বিশ্রাম নিয়ে মল রোড়ে ঘুরতে পারি, স্ট্রিট ফুড় খেতে পারি ও শপিং করে সময় অতিবাহিত করতে পারি। রাত আনুমানিক ০৮:৩০-০৯:০০ মিনিটে সবাইকে ডিনারের জন্য সমবেত হতে হবে। খাবার খেয়ে আমরা রাতে হোটেলে অবস্থান করবো।
৩য় দিন: সকালের নাস্তা খেয়ে হোটেল থেকে চেক আউট করে আমরা গ্যাংটক এর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবো। রাংপো চেকপোস্ট থেকে ইনার লাইন পারমিট ও অ্যারাইভাল সীল সংগ্রহ করে আমরা গ্যাংটক পৌঁছে যাবো। হোটেলে চেক ইন করে আমরা ফ্রেশ হয়ে নিবো। রাত আনুমানিক ০৮:৩০-০৯:০০ মিনিটে আমরা ডিনারের জন্য একত্রিত হবো। রাতে আমরা গ্যাংটক হোটেলে অবস্থান করবো।
৪র্থ দিন: হোটেলে সকালের নাস্তা সম্পন্ন করে আমরা বাজরা বাস স্টেশন থেকে রিজার্ভ গাড়িতে নর্থ সিকিমের লাচুং এর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবো। যাত্রাপথে আমরা (সিংহিক ভিউ পয়েন্ট, সেভেন সিষ্টার ওয়াটার ফল, নাগা ওয়াটার ফল, অমিতাভ বচ্চন ফলস, বাটারফ্লাই ফলস) নান্দনিক সৌন্দর্য মন্ডিত স্থান গুলো ঘুরে দেখবো। ঘুরার পাশাপাশি আমরা আনুমানিক ০২:০০-০৩:০০ মধ্যে লাঞ্চ করে নিবো। সারাদিন ঘুরে সন্ধ্যায় আমরা হোটেলে চেক-ইন করবো। রাত আনুমানিক ০৮:৩০-০৯:০০ মিনিটে আমরা রাতের খবার খেতে সবাই একত্রিত হবো। লাচুং এ আমরা রাতে হোটেলে অবস্থান করবো।
৫ম দিন: খুব ভোরবেলা আনুমানিক ০৬:০০-০৬:৩০ মিনিটে হোটেলে সকালের নাস্তা সম্পন্ন করে অথবা প্যাকেট নাস্তা গাড়িতে নিয়ে হোটেল থেকে চেক আউট হয়ে ইয়ামথাং ভ্যালির উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়বো। ইয়ামথাং ভ্যালিকে ফুলের রাজ্যও বলা হয় (সময় ও অনুমতি সাপেক্ষে অতিরিক্ত খরচে জিরোপয়েন্ট ও কাটাও ঘুরে দেখার সুযোগ থাকবে)। ইয়ামথাং ভ্যালি ও জিরো পয়েন্ট পরিদর্শন শেষে লাচুং এ আনুমানিক ০১:০০-০২:০০ মিনিটে মধ্যে লাঞ্চ করে নিবো । দুপুরের খাবার সম্পন্ন করে আমরা গ্যাংটকের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবো। সারাদিন ঘুরে সন্ধ্যায় আমরা হোটেলে চেক-ইন করবো। রাত আনুমানিক ০৮:৩০-০৯:০০ মিনিটে আমরা রাতের খবার খেতে সবাই একত্রিত হবো। আমরা গ্যাংটকে রাত্রি যাপন করবো।
৬ষ্ঠ দিন: সকাল ০৭:০০ মিনিটের মধ্যে সকালের নাস্তা শেষ করে আমরা ইস্ট সিকিমের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবো। সাঙ্গু লেক ঘুরে আমরা গ্যাংটক ফিরে আসবো। যাওয়া ও আসার পথে চারপাশের পরিবেশ ও সুন্দর্য আমাদেরকে মুগ্ধ করবে। গ্যাংটকে ফিরে আমরা আনুমানিক ০২:০০-০৩:০০ মধ্যে দুপুরের খাবার খেয়ে নিবো। অবশিষ্ট সময় আমরা নিজেদের মতো করে গ্যাংটক শহর ঘুরে দেখতে পারি। রাত আনুমানিক ০৮:৩০-০৯:০০ মিনিটে আমরা রাতের খবার খেতে সবাই একত্রিত হবো। সবাই একসাথে রাতের খাবার খেয়ে নিবো ও রাতে গ্যাংটকে থাকবো।
০৭ দিন:: সকালের নাস্তা ০৭:০০ মিনিটে সম্পন্ন করে অথবা প্যাকেট নাস্তা নিয়ে হোটেল থেকে চেক আউট করবো। অতঃপর আমরা মিরিক হয়ে শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিবো। শিলিগুড়িতে দুপুরের খাবার খেয়ে নিবো । তারপর রিজার্ভ গাড়িতে চ্যাংড়াবান্ধা বর্ডারে উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবো। বিকাল ০৪:০০ মিনিটের মধ্যে আমরা সীমান্তে পৌঁছে যাব ও দুই দেশের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করার প্রস্তুতি গ্রহণ করবো। বুড়িমারিতে আমাদের বাস অপেক্ষায় থাকবে। সন্ধ্যা ০৬:৩০ মিনিটের মধ্যে আমরা বাস কাউন্টারে পৌঁছে আসন গ্রহণ করবো। নিদিষ্ট সময়ে আমরা ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবো। সারা রাত বাস ভ্রমন শেষে পরের দিন সকালে মাজার রোড়/কল্যাণপুর বাস কাউন্টারে আমাদের ভ্রমন শেষ হবে।
Price Details
রেগুলার মূল্যঃ ২৭,৫০০ টাকা
অন্তর্ভুক্তি:
֍ ঢাকা-বুড়িমারি-ঢাকা এসি বাস
֍ বিভিন্ন স্পট গুলো ঘুরে দেখার জন্য রিজার্ভ জিপের ব্যবস্থা
֍ জিপে ৮-৯ জন শেয়ার বেসিসে বসতে হবে
֍ ভারতে প্রবেশের পর থেকে খাবার (সকাল-দুপুর-রাত) শুরু হবে
֍ ০৬ রাত স্ট্যান্ডার্ড হোটেলে থাকার ব্যবস্থা
֍ ৩-৪ জনের শেয়ার বেসিসে থাকার সু-ব্যবস্থা
֍ সার্বক্ষণিক গরম পানির ব্যবস্থা
֍ ইনার লাইন পারমিট
অন্তৰ্ভুক্ত নয়:
֍ ভারতীয় ভিসা ফি
֍ সরকার নির্ধারিত ভ্রমন কর ও পোর্ট চার্জ
֍ সকল প্রকার এন্ট্রি ফি
֍ হাইওয়ে বিরতিতে খাবারের খরচ
֍ ইমিগ্রেশন ও কাস্টম সম্পন্ন করার খরচ
֍ যে কোন ব্যক্তিগত ও মেডিকেল খরচ
֍ রুম হিটারের জন্য চার্জ প্রযোজ্য
֍ সিকিমের লোকাল ট্রাক্সি ভাড়া